সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কারণে তলানিতে ঠেকেছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের। যার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের শোবিজ অঙ্গনেও; একইসঙ্গে কাজ হারাচ্ছে দুই দেশের শিল্পীরাই। এরই মধ্যে বাংলাদেশের শিল্পীদের বয়কটের ডাক দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
রোববার সেই বিজেপি সাংসদ এক বক্তৃতায় বলেন, ‘এই মুহূর্তে বয়কট করতে হবে ওপার বাংলার শিল্পীদের। বাংলাদেশের শিল্পীদের এদেশে আসা থেকে আটকাতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, গৌতম ঘোষরা কেন প্রতিবাদ করছেন না? এটা কোনো রাজনীতি নয়, তবে বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ আমাদের সবাইকে করতেই হবে।’ খবর হিন্দুস্থান টাইমস।
এদিকে বিজেপি নেতা শমীকের বিবৃতি তুলে দেশের একটি গণমাধ্যমে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘কোনো ধর্মের মোড়কে বা উপাসনার পদ্ধতির মোড়কে আমরা কারও অভিনয়সত্তাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে চাই না। কিন্তু এ মুহূর্তে বাংলাদেশের শিল্পীদের বয়কট করতে হবে। সেখানকার যারা ইসলাম ধর্মাবলম্বী অভিনয়শিল্পী আছেন, তারা বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করুন। হিন্দু অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলুক, তারপর তাদের শ্যুটিংয়ে নামান। ওপার বাংলায় অত্যাচার চলছে, আর তারা এখানে সিনেমা করবেন, কিন্তু কোনো প্রতিবাদ করবেন না, এটা তো হতে পারে না।’
তাহলে বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান কলকাতায় কেন আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে শমীক বলেন, ‘উনি কলকাতায় কেন থাকবেন না? উনি অভিনয় করতে এসেছেন। কিন্তু উনি প্রতিবাদ করুক। জয়া আহসানের হিন্দু দর্শক তো ওপার বাংলাতেও আছেন। উনি জয়া আহসান না হয়ে জয়া ভাদুরি হলে তাহলে একটা প্রশ্ন ছিল। কিন্তু উনি জয়া আহসান। তাকে প্রতিবাদ করতে হবে।’
এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছিল, চঞ্চল চৌধুরীকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে চঞ্চল জানান, খবরটি পুরোপুরি মিথ্যা। তবে শমীক ভট্টাচার্য আবারও দাবি করে বসেন, চঞ্চল বাংলাদেশে গৃহবন্দী।
চঞ্চল চৌধুরীর প্রসঙ্গ তুলে শমীক বলেন, ‘চঞ্চল চৌধুরী বিখ্যাত নাম। এখন তিনি গৃহবন্দি। বাংলাদেশের অন্যান্য নায়ক নায়িকাদের নাম বলে আমি আর তাদের ব্যস্ত করতে চাই না। যারা এদিকে আশ্রয় নিয়ে আছে তারা ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক।’