জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক ইতিহাস উপেক্ষা করা হয়েছে। ইতিহাস তো আর বদলানো যাবে না। কিন্তু ইতিহাসে যে ভুয়া তথ্য দেওয়া আছে সেটা বদলানো উচিত। যদি আমরা বস্তুনিষ্ঠভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই, আমরা যদি সামনে এগিয়ে আসি তাহলে অবশ্যই সম্ভব হবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়ের বাজারে বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জবি উপাচার্য বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমি দশম শ্রেণির ছাত্র। আমরা যেভাবে যা দেখেছি তার অনেক কিছুই জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। এক্ষেত্রেও যদি উপযুক্ত কমিশন করে স্বাধীনতা যুদ্ধের যে ইতিহাস তা জাতির সামনে তুলে ধরা যায় তাহলে জাতি আসল ইতিহাস জানতে পারবে। স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্ব ও মূল ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
এর আগে সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই কালো ব্যাজ ধারণ করেন। মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রায়ের বাজারে বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, ছাত্রী হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি, জবি প্রেস ক্লাব, জবি রিপোর্টাস ইউনিটি, ছাত্র সংগঠনের নেতারাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।