শাহরুখ, সালমানের মতো প্রথম সারির অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন মমতা কুলকার্নি। করণ-অর্জুন, বাজি, চায়না গেটসহ একাধিক কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন মমতা। কিন্তু ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন তিনি হঠাৎ করেই সিনেমা জগত ছেড়ে চলে যান।
এক সময়ের বলিউডের সুন্দরী অভিনেত্রী এখন শুধুই একটি নাম। দীর্ঘদিন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে থাকার কারণে আজ মমতা একজন বেনামি অভিনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন, যদিও এর পেছনের কারণ রয়েছে আরও ভয়ানক। ২০১৫ সালে মাদক পাচারের মামলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন মমতা। স্বামী ভিকি গোস্বামীর পাশাপাশি ২০০০ কোটি টাকার ড্রাগ মামলায় উঠে এসেছিল মমতার নাম।
সেই মমতা কুলকার্নিই ২৫ বছর পর মুম্বাইয়ে পা রাখলেন। গুঞ্জন শুরু মমতার একটি ভিডিও থেকেই। অভিনেত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, ”বহু বছর পর ভারতে এলাম। আমার প্রিয় মুম্বাইয়ে পা দিলাম।”
এই ভিডিওতে মমতা আরও বলেন, ‘মুম্বাইয়ে ফিরে এসে সত্যিই নস্ট্যালজিক লাগছে। ২০০০ সালে মুম্বই ছেড়েছিলাম। এত বছর পর আমার দেশকে দেখে ভালো লাগছে। অনেক উন্নতি করেছে। চোখে জল এসে গিয়েছিল যখন মুম্বই বিমানবন্দরে পা দিই।’
এই আবেগঘন ভিডিও পোস্ট করলেও মমতা জানাননি কেন তিনি এত বছর পর মুম্বাইয়ে এসেছেন। তবে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠসূত্রের দাবি, বলিউডের এক পরিচালকের কাছ থেকে নতুন ছবির অফার পেয়েছেন সেই কারণেই ভারতে ফেরা।
মমতার এই ভিডিওতে নেটিজেনদের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক কমেন্ট করতে দেখা যায়। একজন লেখেন, ‘এবার বলিউডের কাস্টিং কাউচ বা নোংরা রাজনীতি নিয়ে কথাবার্তা শুরু করবেন না আশা করি’। অন্য একজন লিখেছেন, ‘সোমি আলির পথ অনুসরণ না করলেই ভালো হয়।’
কেউ কেউ আবার মমতার প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘অনেকদিন পরে দেখলাম আপনাকে। খুব ভালো লাগছে।’ একজন লিখেছেন, ‘ওয়েলকাম ব্যাক মুম্বাই। আপনাকে দেখে ভীষণ ভালো লাগছে।’
প্রসঙ্গত, আগামী জানুয়ারিতে ৩০ বছর পূর্ণ হওয়ার আনন্দে ‘করণ-অর্জুন’ সিনেমাটি পুনরায় সিনেমা হলে মুক্তি পায়। রাকেশ রোশন পরিচালিত এই সিনেমাটি গত ২২ নভেম্বর মুক্তি পায় সিনেমা হলে। অনেকেই মনে করছেন, করণ-অর্জুন সদস্যদের সঙ্গে পুনরায় দেখা করার জন্যই হয়ত মমতার দেশে ফেরা।