আমল ইবাদতের মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তে মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করেন। দিনরাত সব সময় আল্লাহর ইবাদত করা যায়। এর মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ ইবাদত এবং অসংখ্য নফল ইবাদত রয়েছে।
নফল ইবাদতের মধ্যে কোরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ, তাহলিল এবং তাহাজ্জুদ নামাজ রয়েছে। এসব মানুষ যেকোনো সময় করতে পারেন। সাহাবি, তাবেয়ী ও বুজুর্গ আলেমরা সময় পেলেই এই ইবাদতগুলো করতেন। তবে তারা নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য শেষ রাতকে বেছে নিতেন।
তাহাজ্জুদ
শেষ রাতে তাহাজ্জুদের বিশেষ গুরুত্ব বর্ণিতে হয়েছে হাদিসে। রাতের নামাজকে ফজিলতপূর্ণ উল্লেখ করে রাসূল সা. বলেছেন—
হে মানুষেরা তোমরা সালামের প্রচলন কর, খাদ্য প্রদান কর, আত্মীয়তা রক্ষা কর এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সালাত আদায় কর, তাহলে তোমরা শান্তিতে নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (তিরমিজি)
আরেক হাদিসে হজরত আবু উমামা বাহিলী রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, তোমরা অবশ্যই কিয়ামুল্লাইল পালন করবে। কারণ তা তোমাদের পূর্ববর্তী নেককার মানুষদের অভ্যাস, তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের নৈকট্য, পাপের ক্ষমা, পাপ থেকে আত্মরক্ষার পথ এবং দেহ থেকে রোগব্যধির বিতাড়ন। (তিরমিজি)
কোরআন তিলাওয়াত
কোরআন তিলাওয়াত একটি স্বতন্ত্র নফল ইবাদত। পবিত্র অবস্থায় যেকোনো সময় তা করা যায়। এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় সীমা বেধে দেওয়া নেই। শেষ রাতের এই সময়টি বরকতময়, পূর্ববর্তী আলেম ও নেককারদের থেকে এই সময় তিলাওয়াতের কথাও জানা যায় তাই এ সময় তিলাওয়াত করা যেতে পারে। তবে একে অবশ্যক মনে করা যাবে না।
ক্ষমা প্রার্থনা ও দোয়া
শেষ রাতে আল্লাহর কাছে দোয়া করা ও তওবা করা যেতে পারে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহ তায়ালা শেষ রাতে ক্ষমাপ্রার্থনাকারীকে ক্ষমা করেন।
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন, আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং তিনি বলেন, যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। যে আমার কাছে চাইবে আমি তাকে দান করবো, যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করবো। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৪৫)