প্রযুক্তি যেমন মানুষের নিত্যদিনের কাজগুলোকে সহজ করেছে, মুদ্রার উল্টো পিঠের মতো এর নেতিবাচক দিকও রয়েছে। প্রতিক্ষণ প্রযুক্তির দুনিয়ায় ওত পেতে থাকেন সাইবার অপরাধীরা। তাদের খপ্পরে পড়ে অনেকেই ব্যক্তিগত তথ্য ও অর্থ হারান। এবার অভিনব এক প্রতারণা ‘ডিজিটাল গ্রেপ্তার’ ফাঁদে পা দিয়ে ৭ লাখ টাকা খুইয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ঘটনাটি ভারতের মুম্বাইয়ের। ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান আইআইটি মুম্বাই এর এক শিক্ষার্থী ডিজিটাল এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২৫ বছরের ওই যুবক গত জুলাইয়ে একটি ফোন পান। সেখানে একজন দাবি করেন, বেআইনি কার্যকলাপের কারণে তার মোবাইল নম্বরের বিরুদ্ধে ১৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
এর পর সেই প্রতারক জানায়, যুবককে পুলিশের থেকে এনওসি নিতে হবে। আর সেজন্য কলটি ট্রান্সফার করা হচ্ছে সাইবার অপরাধ দমন শাখায়।
যুবক জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও কলে আমি দেখতে পাই উল্টো দিকে পুলিশ অফিসারের পোশাক পরে একজন বসে রয়েছেন। তিনি যুবকের আধার কার্ড নম্বর চান। অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত থাকা অভিযোগ রয়েছে।
এর পর ওই প্রতারক যুবককে অনলাইনে ২৯ হাজার ৫০০ টাকা দিতে বাধ্য করে। সেই সঙ্গেই তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি ‘ডিজিটাল গ্রেপ্তারি’র সম্মুখীন হয়েছেন।
পরদিন প্রতারক ফের ফোন করে আরও টাকা চায়। যুবক নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে দেন প্রতারককে।
দেখা যায়, প্রতারকরা তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৭ লক্ষ টাকা সরিয়ে নিয়েছে। এর পর আক্রান্ত যুবককে বলা হয়, তিনি এখন নিরাপদ। তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না।
পরে অনলাইনে ডিজিটাল গ্রেপ্তারির বিষয়টি জানতে পারেন যুবক। বুঝতে পারেন তিনি প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছিলেন। অবশেষে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগ দায়ের করেছেন অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা তদন্ত শুরু করেছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।