Shadhin24news.com

রাত ১:২৯ , মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ, ১৪৩১
সর্বশেষ সংবাদ

‘মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে হাসিনা’

মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে হাসিনা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ আর রাজনীতিতে ফিরতে পারবে? ফিরলে কীভাবে, কোন কৌশলে ফিরবে? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন শেখ হাসিনা।

তার ধারণা ওই নির্বাচন আওয়ামী লীগের কোনো সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। সুযোগের বিপরীতে হতাশার বার্তাও নিয়ে আসতে পারে মার্কিন মুলুকের নির্বাচন।

আসছে ৫ই নভেম্বর গণতান্ত্রিক পৃথিবীর অন্যতম দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সরকারের সম্পর্কের বৈরিতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে সময়ে সময়ে।

আওয়ামী লীগ মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান শিবির জয় পেলে বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন হবে না এবং ভারত সরকারের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে।

অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন অবস্থানের হেরফের হতে পারে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন বাতাবরণ তৈরি হতে পারে।

সুযোগ তৈরি হতে পারে আওয়ামী লীগের জন্যও। যদিও কূটনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন, নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হলেও যুক্তরাষ্ট্রর নীতি পরিবর্তন খুব একটা হয় না।

পত্রিকা

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘বিসিএসে ২৯ বছরের বেশি বয়সীদের উত্তীর্ণের হার খুবই কম’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ২৯ বছরের বেশি বয়সীদের উত্তীর্ণের হার খুবই কম।

সর্বশেষ চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হওয়া ৪৩তম বিসিএসেও যারা বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ২৯ বছরের বেশি বয়সের প্রার্থী ছিলেন কেবল এক দশমিক ৭১ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা জানান, চাকরিপ্রত্যাশীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের বয়স হয়ে যাচ্ছে, তারা আর পরীক্ষায় ভালো করছেন না। সুপারিশকৃতদের মধ্যে ২৩ থেকে ২৭ বছর বয়সীদেরই বেশি ভালো করতে দেখা যায়।

বয়স বেড়ে গেলে মানুষের অভিজ্ঞতা বাড়ে, ম্যাচিউরিটি বাড়ে কিন্তু পরীক্ষায় ভালো করার যে সামর্থ্য, সেটা কমে যায়।

বর্তমানে দেশে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায়। আর অবসরে যাওয়ার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৯ বছর।

তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা ৩২ বছর, অবসরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৬০ বছর নির্ধারণ করা আছে।

তবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে ২০১২ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।

সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার বিষয়টি পর্যালোচনায় ৩০শে সেপ্টেম্বর একটি কমিটি গঠন করে সরকার।

সেখানে সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং নারীদের জন্য তা ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

পত্রিকা

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অগাস্টের মাঝামাঝি দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় কৃষিপণ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ঘাটতি মোকাবিলায় কৃষিপণ্য আমদানি বাড়ার কথা থাকলেও নিত্যপণ্যের আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।

পণ্য আমদানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা এর কারণ হিসেবে বলছেন, ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ নেই।

একদিকে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায় মন্দা, অন্যদিকে বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি তাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

এ অবস্থায় বেশি দরে পণ্য এনে বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ফলে চাহিদা থাকলেও তারা যথেষ্ট পরিমাণে নিত্যপণ্য আমদানির পথে যাচ্ছেন না।

বিগত সরকারের আমলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে মানুষের জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যায়। পরে ৫ই অগাস্ট সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গত দুই মাসে নিত্যপণ্যের দাম কমেনি; বরং বেড়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুই মাসে (আগস্ট-সেপ্টেম্বর) ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের আমদানি কমে গেছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুতে অস্থিরতার কারণে ব্যবসায় মন্দাভাব রয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারের কোনো দিকনির্দেশনাও পাচ্ছেন না। এজন্য তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সময় নিয়েছেন।

পত্রিকা

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম, ‘প্রশাসনে অস্বস্তি সর্বস্তরে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত কয়েক দিন প্রশাসনের সাবেক শীর্ষ ক্ষমতাধর কর্মকর্তা, সাবেক আইজিপিসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সচিবালয়ের কারও কক্ষে চেনা মানুষ দেখলেই কুশল বিনিময়ের পর জানতে চান, পরবর্তী তালিকায় কে গ্রেফতার হচ্ছেন। কী হচ্ছে আর সামনে কী হতে পারে সে বিষয়েও প্রশ্ন রাখেন অনেকে।

প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার বিগত সরকারের দলীয় ক্যাডারের ভূমিকা পালন, অর্থ কেলেঙ্কারি, নারী কেলেঙ্কারির কারণে গোটা প্রশাসনে এখন আতঙ্ক অস্বস্তি পরিবেশ বিরাজ করছে।

একাধিক সচিবের নামে মামলা-গ্রেপ্তারের পর সবার মনে প্রশ্ন ঘুরছে পরের ব্যক্তি কে?

বিগত দিনে যারা ভোটের সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তারা গ্রেফতার হবেন কি না সে প্রশ্ন অনেক আমলার।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, আর্থিক কেলেঙ্কারি, অন্যায়ভাবে পদ-পদবি দখলের মতো অন্যায় কাজ করে থাকলে আতঙ্ক-অস্বস্তি থাকাটা স্বাভাবিক।

আমলারা যদি পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করত, দলাদলিতে না জড়াত, তাহলে কোনো উদ্বেগ থাকার কথা নয়। ভবিষ্যতে যারা কাজ করবে তারা এই বর্তমান দেখে সতর্ক হবে বলে তিনি জানান।

পত্রিকা

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘অনিশ্চয়তায় সব বড় প্রকল্প’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকাকে ঘিরে যোগাযোগব্যবস্থা সহজতর করতে ১৫টি বড় প্রকল্প নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এসব প্রকল্পের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনটি পুরোপুরি ও আংশিক চালু করা সম্ভব হয়েছে।

বাকিগুলোর কোনোটি নির্মাণাধীন, কোনোটি সমীক্ষা পর্যায়ে, আবার কোনোটি সমীক্ষা শেষে অর্থায়নের অভাবে থমকে আছে।

এরই মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ঘটনায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে তার আমলে নেওয়া এসব প্রকল্প।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো পর্যালোচনার জন্য ১৫ই সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওই সভায় চলমান প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে অনেক প্রকল্প মাঝপথে থেমে যাবে এবং অনিশ্চয়তায় পড়বে।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) সূত্রমতে, ঢাকায় এখন পর্যন্ত ছয় ধরনের যোগাযোগকেন্দ্রিক প্রকল্প চলমান রয়েছে।

এর মধ্যে পাঁচটি ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেল, দুটি বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে, আটটি রেডিয়াল সড়ক, তিনটি লিংক রোডসহ ট্রান্সপোর্ট হাব এবং বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্প।

বর্ধিত মেয়াদ অনুযায়ী ২০২৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করার কথা এসব প্রকল্প। কিন্তু বাস্তবায়নের যে বাস্তবচিত্র, তাতে প্রকল্পগুলোর কোনোটিই নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে না।

বিবিসি বাংলার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।

পত্রিকা

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে মরিয়া আ’লীগ’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার পতনের পর দেশকে কিভাবে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয়া যায় এবং ঠুনকো বিষয়কে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ইস্যু বানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করা যায়- তারই ছক কষছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে বলে দাবি পত্রিকাটির।

শেখ হাসিনাসহ বড় বড় নেতারা দেশ ছেড়ে গেলেও দেশে থাকা বাছাইকৃত কিছু নেতা-কর্মীর সাথে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তারা।

ওই নির্দেশনার আলোকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাইবার যোদ্ধারা অনলাইন-অফলাইনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।

সুশীল সমাজের দাবি, দেশে কয়েকটি ইস্যুকে রং চং লাগিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে একটি সেনসেশন তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে।

তাদের উদ্দেশ্য জনঅসন্তোষ তৈরি করে সাধারণ জনগণকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা। এ দেশের কিছু লোকজন এখনো চায় আগের কর্তৃত্ববাদী রিজিম ফিরে আসুক।

পত্রিকা

সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘কৌশলী বিএনপির ‘সমন্বয়’ পরিকল্পনা, বাদ জামায়াত’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে বিএনপি জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।

৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব সামনে রেখে তারা এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে নির্বাচনের সমন্বয়ে জোর দিচ্ছে।

আগামী রাজনৈতিক পথচলা, আসন বন্টন ও ক্ষমতার অংশীদারিত্ব প্রশ্নে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সমন্বয় করে ভোট যুদ্ধে লিপ্ত হতে চায় বিএনপি।

ফলে দলটির পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়ছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন-১৪ দল ও জামায়াতে ইসলামী।

আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রশ্নে এখনই কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না বিএনপি। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর উচ্চাভিলাসী হয়ে ওঠা জামায়াতের সঙ্গে এই দূরত্ব পৌঁছানোর কথা ভাবছে না বিএনপি-নীতি নির্ধারকরা।

বরং জামায়েত ছাড়া আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্য দলের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন তারা। যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলো এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বিএনপি।

পত্রিকা

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘২ লাখ অজ্ঞাতনামা আসামি’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও পরের বিভিন্ন বিক্ষোভ, সংঘর্ষের ঘটনায় সারা দেশে একের পর এক মামলা হচ্ছে।

এক মানবাধিকার সংস্থার হিসাবে, গত দুই মাসে সহিংসতার ঘটনায় হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়েছে ৫০৬টি। অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে করা এসব মামলায় নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫৪৭ জনকে। অথচ এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ‌এক লাখ ৯৮ হাজার ৭৯০।

বিভিন্ন থানায় করা হত্যা মামলার এজাহার পর্যালোচনা করে অজ্ঞাতপরিচয় বিপুলসংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করার সত্যতা পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের একটি মামলায় সর্বোচ্চ অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ৪০ হাজার।

যেসব মামলায় অজ্ঞাতনামা আসমির সংখ্যা বেশি সেগুলোর বেশিরভাগেরই বাদী পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মী। অভিযোগ উঠেছে, জমিসহ ব্যক্তিগত বিরোধের ঘটনায়ও প্রতিপক্ষকে মামলায় জড়ানো হচ্ছে।

অজ্ঞাতপরিচয় বিপুলসংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করার বিষয়টি উদ্বেগজনক মনে করছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ও ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের নেতাকর্মীরা হয়রানির শিকার হতে পারেন।

যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।

পত্রিকা

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘86 doctors, 136 students punished since August 5’ অর্থাৎ, ‘৫ই অগাস্টের পর থেকে ৮৬ জন চিকিৎসক, ১৩৬ শিক্ষার্থীকে শাস্তি’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত দুই মাসে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেশের আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কমপক্ষে ৮৬ জন চিকিৎসক এবং ১৩৬ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন।

এসব প্রতিষ্ঠানের অফিস অর্ডার অনুযায়ী, চিকিৎসকদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচজন অধ্যাপক, তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, দুইজন সহকারী অধ্যাপক এবং ৪১ জন ইন্টার্ন।

শাস্তিমূলক পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে ইন্টার্নশিপ এবং একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত, হল থেকে বহিষ্কার এবং এমনকি মেডিকেল সার্টিফিকেট বাতিল, কাউকে কাউকে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্বাস্থ্য খাতে কিছুটা অস্থিরতার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত এসেছে। ৫ই অগাস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর, অনেক প্রধান এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার শীর্ষ কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেছেন বা কাজে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত রোগীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।

শাস্তির আওতায় আসা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরোধিতা; আন্দোলন নাশকতার উদ্দেশ্যে ছাত্র এবং ডাক্তারদের হুমকি; আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ।

সূত্র: বিবিসি

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ