দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হওয়ায় ইরানে বিতর্কিত হিজাব আইন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে নীতি নির্ধারকরা। বিতর্কিত হিজাব আইন অমান্যকারী নারীদের জন্য কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছিল। ইরানের সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এই আইনের বিরোধিতা করেছেন।
প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও দেশের অভ্যন্তরীণ এবং উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক বিরোধিতার কারণে এই আইনটি আপাতত স্থগিত করেছে ইরান।
মঙ্গলবার এক ঘোষণায় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহরাম দাবিরি বলেন, দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে আইনটি পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে। এর আগে আলোচনা করে এই আইনটি আপাতত সংসদের মাধ্যমে সরকারের কাছে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
শাহরাম দাবিরি বলেন, এ মুহূর্তে বিলটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ইরানের সংসদে কট্টরপন্থীরা বিতর্কিত আইন পাস করেছিল, যেখানে হিজাব আইন লঙ্ঘনকারী নারীদের জন্য কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়।
হিজাব ঠিকভাবে না পরার কারণে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দেশটির নৈতিক পুলিশ মাশাহ আমিনিকে (২২) গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশি হেফাজতে মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আন্দোলনের পর থেকে প্রতিবাদ হিসেবে ইরানের অনেক নারী বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধানের নিয়মগুলো এড়িয়ে চলছেন।