Shadhin24news.com

রাত ৯:০৬ , সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ, ১৪৩১
সর্বশেষ সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে এবারও হচ্ছে না দুই বাংলার মিলনমেলা

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চাপাসার তাজিগাঁও সীমান্তের টেংরিয়া গোবিন্দপুর কুলিক নদীর পারে শ্রী শ্রী জামর-পাথর কালীপূজা উপলক্ষ্যে এবারও হচ্ছে না দুই বাংলার মিলনমেলা। প্রতি বছর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসে এ মিলনমেলা। বাংলাদেশের শতাব্দী প্রাচীন কালীপুজোকে কেন্দ্র করে কাঁটাতার মাঝে রেখে দুই দেশের মানুষ মিলিত হয়। 

এ বছর সেই মেলা হওয়ার কথা ছিল ৬ ডিসেম্বর। কিন্তু এ বছর মেলা নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। গত বছর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আপত্তির কারণে মিলনমেলাটি হয়নি। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভারতে বসবাসরত তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য দিনটির অপেক্ষা করে।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রেমা পাল বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পূজা উপলক্ষ্যে পাথর কালী মেলার নামে প্রতিবছর এখানে এক দিনের জন্য মেলা বসে আসছে। দেশ স্বাধীনের পর মেলাটি বাংলাদেশের অংশে পড়লেও মেলায় ভারতীয়দের সীমান্তে উন্মুক্ত করে দেয় ভারত। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এবার পূজা বসলেও মিলনমেলা হবে না। আমরা সবাই হতাশ।

গিতা রাণী রায় নামে আরেকজন বলেন,  আমার বোন ও বোনজামাই ভারতে থাকেন। প্রতিবছর এই মেলায় আমরা তাদের দেখতে আসি। ভারতের মাকড়হাট ও শিমুলতলী বিএসএফ ক্যাম্পের সীমান্তের ৩৪৬ ও ৬৮নং টিলার তারকাঁটার বেড়ার পাশে দাঁড়িয়ে শুরু হয় দুই দেশের মানুষের দেখা-সাক্ষাৎ। খাবার বিনিময় করা হয়। দীর্ঘদিন পর স্বজনদের পেয়ে আমরা অনেক আনন্দিত হই। 

মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি নমরেশ চন্দ্র সেন বলেন, কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই ভারতীয়রা মেলায় আসতে পারেন। হাজার হাজার ভারতীয় প্রতি বছরই মেলায় এসে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করে। এই দিনটির জন্য প্রতি বছর আমরা অপেক্ষা করি। তবে এবার পূজা হলেও মিলনমেলা আর হচ্ছে না। এতে আমরা অনেক মর্মাহত।

এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলা কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, পাথরকুচিতে যে পূজাটি হতো সেটাই হবে কিন্তু পূজাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে যে মিলনমেলা হয়ে আসছিল সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ